"बङ्किमचन्द्र चट्टोपाध्याय" इत्यस्य संस्करणे भेदः
Content deleted Content added
No edit summary |
No edit summary |
||
पङ्क्तिः ३१:
बङ्किमचन्द्रस्य जन्म( २७ जून, १८३८ क्रैस्ताब्दः/१३ आषाढ १२४५ बङ्गाब्दः ) नैहाटीनगरस्य निकटस्थे ''कांठालपाडा''ग्रामे अभवत् । वस्तुतः तस्य वंशस्य आदिनिवासः [[हुगलिमण्डलम्|हुगलिमण्डलस्य]] देशमुखोग्रामे आसीत् । बङ्किमचन्द्रस्य प्रपितामहः रामहरि चट्टोपाध्याय महोदयः मातामहस्य सम्पत्तिं प्राप्य ''कांठालपाडा''ग्रामं गतवान् आसीत् । अन्ततरं तत्रैव वसवासम् अकरोत् । रामहरि महोदयस्य पौत्रः आसीत् यादवचन्द्र चट्टोपाध्यायः । तस्य तृतीयपुत्रः बङ्किमचन्द्रः आसीत् । बङ्किमचन्द्रस्य '''श्यामाचरण''' तथा '''सञ्जीवचन्द्र''' इति द्वौ अग्रजौ आस्ताम् । बङ्किमस्य जन्मकाले पितुः यादवचन्द्रस्य सह-मण्डलशासकरूपेण पदोन्नतिः जाता आसीत् ।
<!----জন্মের পর ছয় বছর বঙ্কিমচন্দ্র কাঁটালপাড়াতেই অতিবাহিত করেন। পাঁচ বছর বয়সে কুল-পুরোহিত বিশ্বম্ভর ভট্টাচার্যের কাছে বঙ্কিমচন্দ্রের হাতেখড়ি হয়। শিশু বয়সেই তাঁর অসামান্য মেধার পরিচয় পাওয়া যায়। বঙ্কিমের কণিষ্ঠ সহোদর পূর্ণচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, “শুনিয়াছি বঙ্কিমচন্দ্র একদিনে বাংলা বর্ণমালা আয়ত্ত করিয়াছিলেন।”<ref name="ReferenceA">প্রবন্ধ ''বঙ্কিমচন্দ্রের বাল্যশিক্ষা'', পূর্ণচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, ''বঙ্কিম-প্রসঙ্গ'' গ্রন্থ, সুরেশচন্দ্র সমাজপতি সম্পাদিত</ref><ref>''বঙ্কিমচন্দ্রজীবনী'', অমিত্রসূদন ভট্টাচার্য, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, [[কলকাতা]], [[১৯৯১]], পৃ. ২৫ থেকে উদ্ধৃত</ref> যদিও গ্রামের পাঠশালায় বঙ্কিম কোনওদিনই যাননি। পাঠশালার গুরুমশাই রামপ্রাণ সরকার বাড়িতে তাঁর গৃহশিক্ষক নিযুক্ত হন। বঙ্কিমচন্দ্রের রচনা থেকে মনে হয় তিনি রামপ্রাণের শিক্ষা থেকে বিশেষ উপকৃত হননি। <ref>বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (জীবনকথা), ''বঙ্কিম রচনাবলী'', প্রথম খণ্ড, [[যোগেশচন্দ্র বাগল]] সম্পাদিত, সাহিত্য সংসদ, [[কলকাতা]], পৃষ্ঠা নয়</ref> তিনি লিখেছেন, “সৌভাগ্যক্রমে আমরা আট দশ মাসে এই মহাত্মার হস্ত হইতে মুক্তিলাভ করিয়া মেদিনীপুর গেলাম।” <ref>৺সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবনী, ''বঙ্কিম রচনাবলী'', দ্বিতীয় খণ্ড, [[যোগেশচন্দ্র বাগল]] সম্পাদিত, সাহিত্য সংসদ, [[কলকাতা]], পৃষ্ঠা ৭৯০</ref>
[[১৮৪৪]] সালে বঙ্কিমচন্দ্র পিতার কর্মস্থল [[মেদিনীপুর|মেদিনীপুরে]] আনীত হলে, সেখানেই তাঁর প্রকৃত শিক্ষার সূচনা হয়। মেদিনীপুরের ইংরেজি স্কুলের প্রধান শিক্ষক জনৈক এফ টিডের পরামর্শে যাদবচন্দ্র শিশু বঙ্কিমকে তাঁর স্কুলে ভরতি করে দেন। এখানেও বঙ্কিম অল্পকালের মধ্যেই নিজ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হন। পূর্ণচন্দ্রের রচনা থেকে জানা যায়, বার্ষিক পরীক্ষার ফলে সন্তুষ্ট হয়ে টিড সাহেব বঙ্কিমকে ডবল প্রমোশন দিতে উদ্যত হলে যাদবচন্দ্রের হস্তক্ষেপে তিনি নিরস্ত হন।<ref name="ReferenceA"/><ref>''বঙ্কিমচন্দ্রজীবনী'', অমিত্রসূদন ভট্টাচার্য, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, [[কলকাতা]], [[১৯৯১]], পৃ. ২৫</ref> [[১৮৪৭]] সালে টিড [[ঢাকা|ঢাকায়]] বদলি হয়ে গেলে সিনক্লেয়ার তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন; তাঁর কাছেও বঙ্কিম প্রায় দেড় বছর ইংরেজি শিক্ষা গ্রহণ করেন।
|